সন্তানরা হচ্ছে ভবিষ্যত প্রজন্ম, তাদেরকে যেভাবে আপনি বড় করবেন সেভাবে তারা বড় হয়ে উঠবে। তারা যখন ছোট থাকে তখন তাদের মাঝে ঈমানিয়াত, ইসলামিয়াত ও ইহসানিয়াতগুলো প্রবেশ করানোর চেষ্টা করা প্রতিটি অভিভাবকের কর্তব্য। যারা এ কাজটি করেন তাদেরকে বলা হয় ‘রাব্বানী’। কুরআনে কারীমে আল্লাহ তা‘আলা আমাদের বলেন, “কোনো মানুষের জন্য এটা উচিত নয় যে, তাকে আল্লাহ কিতাব দিবেন, হুকুম-হিকমত দিবেন, নবুওয়াত দিবেন, তারপর তিনি লোকদের বলবেন, তোমরা আল্লাহকে ছেড়ে আমার দাস হও, বরং তিনি বলবেন, তোমরা ‘রাব্বানী’ হও, যেহেতু তোমরা কিতাব শিক্ষা দিবে আর যেহেতু তোমরা শিক্ষা প্রদান করবে।” [সূরা আলে ইমরান: ৭৯]
আলেমগণ বলেছেন, ‘রাব্বানী’ তো তারাই যারা বড় বিদ্যার আগে ছোট ছোট বিদ্যা দিয়ে মানুষদের বড় করে তোলে। সে হিসেবে নবী-রাসূলগণ ছিলেন ‘রাব্বানী’, তাদের অবর্তমানে যারা নবী-রাসূলগণের কাজ করে যাবেন তারাও ‘রাব্বানী’ বিবেচিত হবেন।
যুগে যুগে আলেমগণ চল্লিশ হাদীস নিয়ে গ্রন্থ লিখেছেন। এসব গ্রন্থ বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। তন্মধ্যে বিখ্যাত গ্রন্থ হচ্ছে ইমাম নাওয়াওয়ীর ‘চল্লিশ হাদীস’, যা সারা দুনিয়াতে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। অনেকে সেটার বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছেন। ইমাম নাওয়াওয়ীর এ গ্রন্থটি দীনের মৌলিক বিষয় নিয়ে রচিত হয়েছিল। তার আগে ও পরে বহু আলেম বিষয়ভিত্তিক চল্লিশ হাদীস জমা করেছিলেন। কিন্তু সবগুলো শিশুদের মন ও মানস উপযোগী নয়; কারণ শিশুদের মন বড় হাদীস মুখস্থ করতে ও বড় হাদীসের অর্থ আয়ত্ব করতে হিমশিম খায়। তাই তাদের উপযোগী করে হাদীস চয়ন করা ও সেগুলোর হাল্কা ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। এ কাজটি আঞ্জাম দিয়েছেন শাইখ মুহাম্মাদ সুলাইমান আল-মুহান্না হাফিযাহুল্লাহ। আর সেটার অনুবাদ করেছেন তরুন আলেমে দীন ‘মিজানুর রহমান ফকির’ হাফিযাহুল্লাহ। আর আমি গ্রন্থটি পুরোপুরি পড়ে প্রয়োজনীয় সংশোধনীর মাধ্যমে পাঠকের সমীপে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
Reviews
Clear filtersThere are no reviews yet.