প্যাকেজটিতে যা যা থাকছে:
১.উইমেন্স গাইড
নারীর দ্বীন পালনের পথে যেসকল বাধা ও প্রতিবন্ধকতা আসে, যেসব অপ্রত্যাশিত বিষয়ের মুখোমুখি হয়ে সদ্য দ্বীনে ফেরা মেয়েটি বিহ্বল হয়ে পড়ে, দিশা হারিয়ে ফেলে, বুঝে উঠতে পারে না—এই ক্রান্তিকালীন সময়ে তার ঠিক কী করা উচিত আর কী করা উচিত না—এসব নিয়েই রচিত উইমেন্স গাইড!
সাহিত্যে রসে এবং গল্পে গল্পে উদ্ভুত সমস্যাগুলোর চমৎকার সব সমাধান ও দিকনির্দেশনা সম্বলিত বইটি দিকভ্রান্ত নারী সমাজের গাইড বুক হয়ে কাজ করবে। এবং পরম যত্নে মাথায় হাত বুলিয়ে করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়গুলো বুঝিয়ে দেবে।
প্রতিটি মুসলিম নারীর জন্য বইটি বিশেষভাবে রিকমেন্ডেড। উইমেন্স গাইড মুসলিম নারীর দ্বীনি গাইডলাইন। বইটি লিখেছেন হাফেজা-আলেমা সহ একঝাঁক দ্বীনি বোন!
২.তুমি ফিরবে বলে (ফিমেল ভার্সন)
তারুণ্যের জোয়ার তাচ্ছিল্যের সাথে ছুড়ে ফেলতে চায় ছকবাঁধা জীবন। দুনিয়াকে উপভোগ করার উদাত্ত আহ্বানে জাহিলিয়াতের স্রোতে ভেসে বেড়ায় তারা। ভাসতে ভাসতে কেউ কেউ ডুবে যায় ব্যর্থতা ও হতাশার অতল গভীরে। কেউ বা গিয়ে পড়ে তরীহীন গভীর সমুদ্রে। ভেসে বেড়ায় দিকভ্রান্ত পথিকের মতন। তবে ক্ষতি যা হওয়ার, তা তো হয়েই যায়। লেখক চেষ্টা করেছেন সেই ক্ষতে একটুখানি ওষুধের প্রলেপ দিতে। অগ্নিকুণ্ডের লাভার দিকে ঝাঁকবেঁধে ছুটে চলা কিশোরী-তরুণীদের শাসনের সুরে লেখক বলতে চেয়েছেন—ওরে বোকা! ওটা আলো নয়, আগুন। ওখানে সুখ নেই কোনো, আছে দগ্ধ হওয়ার রসদ।
গদ্যে-পদ্যে-প্রবন্ধে অনবদ্য হয়ে উঠেছে বইখানি। আল্লাহর অবাধ্যতায় লিপ্ত থেকে হইহই করে জ্বলন্ত আগুনের দিকে ছুটতে থাকা একঝাঁক তরুণীকে তিনি ফেরাতে চেয়েছেন। লাগাম টানতে চেয়েছেন তাদের পদযাত্রায়। কখনো অনুযোগে, কখনো অনুরোধে, কখনো বা ধমকের সুরে।
বইয়ের প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি বাক্য, প্রতিটি পৃষ্ঠা যেন একেকটা জীবন্ত সত্তা। তারা কথা বলতে পারে। জীবনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে উদাসীন, দুনিয়ার মোহে বুঁদ হয়ে থাকা, নাচ-গান নিয়ে মত্ত, ছন্নছাড়া, উচ্ছৃঙ্খল তরুণীদের উদ্দেশ্যেই এই বইখানা লেখা। যতটা উচ্ছৃঙ্খলই সে হোক না কেন, এই বই তাকে দু-দণ্ড স্থির হয়ে বসে ভাবতে বাধ্য করবে। তার মধ্যে কিঞ্চিত পরিমাণে হলেও অনুশোচনাবোধ জাগ্রত করবে। তার চোখ দুটো সামান্য হলেও অশ্রুসিক্ত করবে, ইন শা আল্লাহ।
৩.মুহস্বানাত (পবিত্র নারীদের পাঠশালায়)
নারী। যাদের জীবনে অনেক দায়িত্ব। শৈশবকাল থেকেই তার সেই দায়িত্ব শুরু হয়ে যায়। কৈশোরের চৌকাঠে পা দিলেই বাবার বাড়ির সংসার গুছানোর দায়িত্ব চেপে বসে কাঁধে। তারপর বয়স হলে বিয়ে, বিয়ের পর শ্বশুর বাড়ি বা নিজের সংসার। স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকদের নিয়ে গড়ে ওঠে আরেকটি নতুন জীবন। এরই মাঝে কোল জুড়ে আসে এক চিলতে মায়া। সন্তানকে মানুষ করার ঝোঁক তখন চেপে বসে মাথায়। অনেক দায়িত্ব! আর সেই নারী যদি হয় আল্লাহর মনোনীত দ্বীনের প্রকৃত অনুসারী, তাহলে তো তার দায়িত্ব বেড়ে যায় কয়েকগুণ। সাথে যুক্ত হয় জবাব্দিহিতার ভয়। আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা, স্বামীকে খুশি রাখা, নিজেকে পর পুরুষের দৃষ্টি থেকে হেফাযত করা, সন্তানদের দ্বীনি পরিবেশ দেয়া, চারপাশের মানুষগুলোকে দ্বীনের পথে আহ্বান করা, একবিংশ শতাব্দীর বড় বড় ফিতনাগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে যাওয়া…আরও কত কি!
আল্লাহ সুব. তাআলা পবিত্রতা পছন্দ করেন। সেই পবিত্রতা দেহের, সেই পবিত্রতা আত্মার। একজন মুসলিমাহ নিজের দেহ, পোশাক, সৌন্দর্য, চরিত্র, আখলাক সবকিছুই পবিত্র রাখবে, কলুষিত হতে দিবে না। তারাই তো ‘মুহস্বানাত’, তাবৎ দুনিয়ার সবচেয়ে দামী সম্পদ।
Reviews
Clear filtersThere are no reviews yet.