জানেনই তো, নতুন মায়েদের জন্য প্যারেন্টিং বড় একটি ধাক্কা। কিসের মাতৃত্বের আনন্দ উপভোগ! হিমশিম খেয়ে কুল পাই না! আর দশজনের মতো আমার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম ছিল না।
যখন প্যারেন্টিং নিয়ে পড়াশোনা শুরু করলাম, মনে হলো, এত ব্যাপক, এত কঠিন, সব সময় এতকিছু কি মেইনটেইন করা যায়? তখন চিন্তা করলাম, কীভাবে এটাকে সহজ করা যায়! কাটছাঁট করে একটা খসড়া তৈরি করলাম। ভালো মা হবার জন্য বা বাচ্চাদের নিয়ে হাসি-আনন্দে থাকতে যে কাজগুলো না করলেই না, আমি শুধু সেটুকু করব।
সিলেবাস কম হলে প্রস্তুতি নেওয়া সহজ। আমার সেই শর্টকাট সহজ সিলেবাসটাই ‘ভালো মা-বাবার দুষ্টু বাচ্চা’।
কোনো কাজ সহজ নাহলে তা হাসিমুখে দিনের পর দিন করা যায় না, উপভোগ তো দূরের কথা। আর আমি আমার তিন বাচ্চার সাথে সময় কাটাতে গিয়ে দেখেছি, বাচ্চাদের সবচেয়ে পছন্দের জিনিস কোনো দামি খেলনা না, চকলেট-গেজেট-জামা-কাপড়ও না—শুধু বাবা-মায়ের হাসি।
মুহাম্মদ রুবেল মিয়া –
আমাকে যদি কেউ বলে প্যারেন্টিং সম্পর্কে একটি ভালো বইয়ের নাম বলো, তাহলে আমি যে বইটির নাম বলবো সেটা হলো “ভালো মা-বাবার দুষ্টু বাচ্চা”। আসলে নামটাই অনেকটা আকর্ষণীয়। ভিতরের লেখাগুলো কিন্তু তার চেয়ে কম না। বইয়ের ভিতরটি মা-বাবার জন্য মনি মুক্তো দিয়ে সাজানো। সন্তান গর্ভে ধারণ থেকে শুরু করে সন্তানের সঠিক পরিচর্যা, সন্তান লালন-পালনের কুরআন ও সুন্নাহ সমর্থিত সর্বোত্তম উপায় ইত্যাদি নিয়ে বইটিতে আলোচনা করা হয়েছে।
বইটি নতুন মা-বাবার জন্য আদর্শ একটি বই হবে। তাঁরা শুরু থেকেই সন্তান প্রতিপালনের বিষয়গুলো জেনে নিজেদের সন্তানদের আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা চালাতে পারবে ইনশাআল্লাহ।
বইটি সকল মা বাবার সন্তান প্রতিপালনের পাথেয় হোক।