কাল্পনিক গোয়েন্দা কাহিনী তো আমরা প্রতিনিয়তই পড়ি। কিন্তু জটিল এই পৃথিবীতে ট্রু স্পাই স্টোরির সংখ্যাই এতো বেশি, সেগুলো পড়তে গেলেই এক জীবন ফুরিয়ে যাওয়ার কথা। ফিকশনের তুলনায় নন ফিকশন স্পাই স্টোরি পড়ার মধ্যে বাড়তি এটা লাভ আছে। এর মাধ্যমে গল্পের পাশাপাশি আপনি ইতিহাসের একটা অংশও জানতে পারবেন। মোজাম্মেল হোসেন ত্বোহা‘র প্রথম বই: “স্পাই স্টোরিজ: এসপিওনাজ জগতের অবিশ্বাস্য কিছু সত্য কাহিনী” এমনই একটি বই। এর প্রতিটা কাহিনীই সত্য ঘটনা অবলম্বনে এবং সবগুলো কাহিনীর বর্ণনাই শ্বাসরুদ্ধকর।
মোট ছয়টা গল্প রাখা হয়েছে বইটাতে। সবগুলো গল্পের দৈর্ঘ্য গড়ে হাজার পাঁচেক ওয়ার্ডের মতো। এর মধ্যে চারটা গল্পই নেওয়া হয়েছে মূলত প্রশংসিত কিছু নন-ফিকশন থ্রিলার থেকে। আর বাকি দুইটা গল্প লেখা হয়েছে বিভিন্ন ডকুমেন্টারি, আর্টিকেল, লিকড ডকুমেন্টস থেকে তথ্য নিয়ে। সংক্ষেপে বলতে গেলে “স্পাই স্টোরিজ“-এ একই বইয়ের ভেতর আপনি পাচ্ছেন ছয়টা শ্বাসরুদ্ধকর সত্যিকার এসপিওনাজ কাহিনী, যেগুলোতে মূল বইয়ের থ্রিলিং অংশের আমেজ বেশ ভালোভাবেই উঠে এসেছে, কিন্তু যেগুলোতে বইয়ের বাহুল্য অংশগুলো থাকছে না।
আশিকুর রহমান –
ট্রুথ ইজ স্ট্রেঞ্জার দ্যান ফিকশন!
দুর্দান্ত একটা বই৷
হাইলি রিকমেন্ডেড৷
Imran Shorif Shuvo –
ট্রেন জার্নিতে পড়ে ফেললাম দুর্দান্ত ও বাস্তব কিছু থ্রিলার!
পড়তে পড়তে এতটাই গভীরে ঢুকে গিয়েছিলাম যে, আশেপাশে লোকজন কেউ নড়াচড়া করে উঠলে মনে হচ্ছিল এই বুঝি কেজিবি কি সিআইএ ধরতে এলো বলে! xD
বলে উঠলো বোধ হয়, “You are under arrest for conspiracy to commit espionage!”
রেলে বই পড়তে মজা আছে, যাদের এক্সপেরিয়েন্স হয়নি ট্রাই করে দেখতে পারেন। এক কথায় দারুণ!