“পুরুষের যৌন সমস্যা ও চিকিৎসা ” বইটির ভূমিকার অংশ থেকে নেয়া:
উনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে মানুষের যৌন চেতনার উপর হরমােনের প্রভাব মানুষকে খুব উৎসাহিত করেছিল। তখন ধারণা হয়েছিল যে, পুরুষ হরমােন (Testosterone) গ্রহণ করলে সব রকম যৌন দুর্বলতা থেকে মুক্ত থাকা যাবে। আমাদের দেশে এখনও বেশির ভাগ সাধারণ মানুষ ও চিকিৎসকদের মধ্যে এই ধারণা প্রবলভাবে বিস্তার লাভ করে আছে। কিন্তু বিংশ শতাব্দীর প্রথমে এসে যৌন বিজ্ঞানিগণ দেখেছেন যে সুস্থ সবল দেহের অধিকারী কেউ এটা গ্রহণ করলে। তার শরীরে বিভিন্ন রকম অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটে যার ফলে একজন পুরুষ চিরদিনের জন্য যৌনক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে। যাদের শরীরে এই হরমােন কম থাকে তাদেরই কেবল স্বাভাবিক যৌনক্ষমতা লাভ করার সম্ভাবনা থাকে। আমাদের দেশের সাধারণ শিক্ষিত-অশিক্ষিত প্রায় সব মানুষের ধারণা যে ঔষধ গ্রহণ করে। যৌনশক্তি বাড়ানাে যায়। আমরা প্রায়শই রতিশক্তি বর্ধক বলে বিবেচিত বিভিন্ন ঔষধের প্রচার দেখতে পাই। কিন্তু বাস্তবে যৌন বিজ্ঞানীরা রতিশক্তি বর্ধক কোন ঔষধের অস্তিত্ব এখনও পান নি। বরং তার চেয়ে রতিশক্তি হ্রাস করার ঔষধের অস্তিত্বই বেশি পেয়েছেন। আমি এই বইয়ে প্রাচীনতম রতিশক্তি বর্ধক বলে বিবেচিত ও বর্তমানে ব্যবহৃত বিভিন্ন রতিশক্তির ওপর প্রভাব বিস্তারকারী ঔষধ সম্পর্কে আলােচনা করেছি।
Mostafijur Rahman Sojol –
ডাক্তারদের অতটা কাজে আসবে না এই বইটি কিন্তু এটি সাধারণ মানুষের অনেক কাজে আসবে। আপনি যদি ডাক্তার হয়ে থাকেন তাহলে এটি না কেনাই ভাল হবে আর আপনি যদি সাধারন মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বইটি কিনবেন। বইটির কোয়ালিটি অনেক ভালো
Hafiz Golam Rabby –
এই বইটি মোটেই ভালো নয়। কারণ এই বইয়ে যৌনমিলনের যে পদ্ধতি শেখানো হয়েছে তা স্পষ্ট হারাম। যেমন — এই বইয়ে পাবেন যে, যুবতীরা নাকি পিছনের রাস্তায় যৌনমিলনে আনন্দ পায়। আরো বিভিন্ন কথা লেখা আছে ও বিভিন্ন পদ্ধতি যা পড়ে আমি অসন্তুষ্ট হলাম। এই বইয়ে ইসলামিক কোনো আলোচনাই আনা হয়নি। বরং এটা কেবল পশ্চিমা দেশগুলোর দিকের কথাই মূখ্য হয়ে ফুটে উঠিয়েছেন লেখক। তাই এটি ক্রয় করা থেকে বিরত থাকুন। অযথা এমন বই পড়ে কবিরা গুনাহ করবেন না।