আয়না!
হয়তো আমরা খেয়াল করি অথবা করি না, কিন্তু আমাদের জীবনের হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনার সাথে জড়িয়ে থাকে আয়না। জীবনপথে ক্লান্ত হয়ে আয়নায় আশ্রয় খুঁজি আমরা। জান্নাত বা জাহান্নাম পর্যন্ত বিস্তৃত এই পথে চলতে গিয়ে ধুলো জমে আমাদের হৃদয়েও। চিরচেনা আয়নায় বিকৃত হতে থাকে প্রতিবিম্ব। পরতের পর পরত জমে ময়লা। একের পর এক হাতে তুলে নিই নানা মতবাদ, নানা ‘তন্ত্রমন্ত্রের’ আয়না। ধরা পড়ে না অসুখ। ক্রমাগত আয়না বদলাই। ভুল প্রতিবিম্ব আর ভুল চিকিৎসায় আরও বাড়ে যন্ত্রণা। পুরু হতে থাকে ময়লার পরত…
কিন্তু জানেন, রূপকথার স্নো-হোয়াইটের সেই জাদুর আয়নার চাইতেও শতগুণ বেশি নির্ভুল আয়না ছিল আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে? সেই আয়না দেখে পরিপাটি করে তাঁরা সাজিয়েছিলেন নিজেদের। সাজিয়েছিলেন এই পৃথিবীকে। সেজেছিল মেঘ, রোদ, জোছনা; সেজেছিল মরু, নদী, সাগর। তাঁরা মানুষকে ডেকেছিলেন সৃষ্টির দাসত্ব থেকে স্রষ্টার দাসত্বের দিকে; এ দুনিয়ার সংকীর্ণতা থেকে মুক্ত হয়ে দুনিয়া ও আখিরাতের প্রশস্ততার দিকে। লিখেছিলেন মাটির পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে মহাকাব্যিক অধ্যায়টি…।
ধুলো পড়া সময়ে হারিয়ে যাওয়া সেই আয়নার কথা মনে করিয়ে দিতেই এই আয়োজন…
আয়নাঘর।
Reviews
Clear filtersThere are no reviews yet.